বগুড়া র‍্যাব-১২ এর অভিযানে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির সরঞ্জাম ও ইয়াবাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ রয়েছে।

২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে বগুড়া সদরের জলেশ্বরীতলা ও সূত্রাপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নওগাঁ রানীনগর উপজেলার কালিগ্রামের আতাউর রহমান রানা (৪০), বগুড়া সদরের সাবগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামের স্বপন (৩৯) ও বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার কয়াকুন্টি গ্রামের হানিফ প্রামাণিক (২৫) এবং ২ নারী।

র‌্যাব-১২ এর অধিনায়কের কার্যালয়ের (সিরাজগঞ্জ) মিডিয়া অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা ও সূত্রাপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করে আসছিল। তারা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন প্রকারের পর্নোগ্রাফি ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেগুলো প্রকাশ করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি (ব্লুফ্লিম) ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ল্যাপটপ, দুটি পেনড্রাইভ, দুটি আলোকস্বজ্জা লাইট, একটি যৌন উত্তেজক ভাইব্রেশন যন্ত্র, একটি সাউন্ড বক্স, একটি বেল্টযুক্ত প্লাষ্টিকের কৃত্রিম পেনিস, একটি চার্জার ব্যাটারী, দুটি এলইডি লাইট, আটটি মোবাইল ফোন, পনের পিস ইয়াবা এবং পর্নোগ্রাফি তৈরি সংক্রান্তে নিয়োগের শর্তবলী চুক্তিনামা কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও মাদক আইনে মামলা করে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা জানান, পাঁচজনকে রবিবার রাতে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। পরে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও মাদক আইনে করা মামলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।